তালায় খালের পলি অপসারন কাজ সমাপ্তির পথে,
৪ লক্ষ মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রান পাওয়ার আশা।
তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা:
সাতক্ষীরা তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া পূর্বচর বিলের মধ্যে খালটি দীর্ঘ দিন পলি জমে থাকার কারনে সৃষ্ট দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকত এলকার মানুষ। আর এই জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার বিঘা জমি থাকতো পানির নিচে। যার কারনে এই এলাকায় মানুষ অভকব খকর অনটনের মধ্যে দিন যাপন করত।
জলাবদ্ধতা নিরসনে খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম লেয়াকত হোসেন এর সার্বিক প্রচেষ্টায় তালা উপজেলার স্হানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ও বালিয়া ভাঙনকুল সমবায় সমিতির বাস্তবায়নে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা ব্যযে এই খালের পলি অপসারন প্রায় শেষ প্রান্তে।
আর এই পলি অপসারনে লক্ষ মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে রেহায় পাবে। এ বিষয়ে খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম লেয়াকত হোসেন জানান আমার এলাকা প্রতিবছর জলাবদ্ধতায় রুপ নেয়। যার কারনে মাসের পর মাস ফসলি জমি থাকে পানির নিচে। এ সময় দেথা দেয় অভাব আর অনটন। তাই আমি আমার এলাকার জনগনের কথা ভেবে তালা উপজেলার এল জি ই ডি এর অর্থায়নে এই খাল অপসারনের কাজটি করছি। ইউপি সদস্য ওবায়দুর রহমান মিঠু জানান প্রতি বছর আমাদের ইউনিয়ন জলাবদ্ধতায় থাকে। যার কারনে এই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে থাকে। তাই আমাদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহেবের আন্তরিক চেষ্টায় এই পূর্বাচর খালটি খনন পূর্বক পলি অপসারন করা হয়। জাসাস নেতা তোফায়েল আহমেদ জানান জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে দেশে বেশির ভাগ এলাকা বন্যায় রুপ নেয়। আর সেটা স্হায়ী জলাবদ্ধতা হিসাবে ৩/৪ মাস এলাকার ফসলি জমি গুলো পানির নিচে থাকে । যার কারনে এই সব এলাকায় দেখা দেয় অভাব আর দারিদ্র।
তালা উপজেলার স্হানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ হালদার জানান তালা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মধ্য খেশরা ইউনিয়নে বেশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এই ইউনিয়নের ৪/৫ গ্রাম পানির নিচে থাকে। কারন এই সব এলাকায় খাল গুলো পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি ঠিকমত নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্হা না থাকায় এই জলাবদ্ধতা । তাই স্হানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে এই পূর্বাচর খালের ৬৫০ মিটারের মত কাজ ইতিমধ্যে শেষ পর্যাযে। এই খালের পলি অপসারন শেষ হলে এই ইউনিয়নের ৪ লক্ষ মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।