তালার খেশরা ইউনিয়নে জামায়াতের রাস্তা সংস্কার

মুরাদ হোসেন (খেশরা)

তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে খানাখন্দে ভরা রাস্তা সংস্কার করলেন জামায়াতে ইসলামী তালা উপজেলা শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক মোঃ ইদ্রিস আলী, খেশরা ইউনিয়ন শাখার আমীর মাওলানা আব্দুল গফুর, উপজেলা যুব জামায়াতের ক্রিড়া সম্পাদক মোঃ আলী হুসাইন সহ অন্যান্য দায়িত্বশীল।
এ সময় দলের নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাশ্রমে খেশরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কলাগাছি গ্রামের রাস্তাটি সংস্কার করা হয়।
শনিবার (০১ মার্চ) সকালে খেশরা ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন খানাখন্দে রাস্তাটির বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে কাদাযুক্ত এবং শুষ্ক মৌসুমে ধুলা বালুর কারণে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটি সংস্কার করার দাবি জানিয়ে আসছিল।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়।
গ্ৰামবাসীরা বলেন গত কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কারের কথা জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে আসছি।
কিন্তু পার্শ্ববতী এলাকাগুলোর রাস্তা পাকা হলেও অদৃশ্য কারণে আমাদের এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয় না। আজকে জামায়াতের পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। এতে করে কিছুটা হলেও চলাচলের জন্য সুবিধা হবে।”
এদিকে, জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার করার ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তালা উপজেলা শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি জনকল্যাণমূলক ইসলামী রাজনীতিক দল। দীর্ঘ সময় ধরে এ রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছিল। তাই আজ জামায়াতের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে, তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শুধু একটি ধর্মীও ও রাজনৈতিক দলই নয় ‘ইসলাম ইস দ্যা কমপ্লিট কোড অব লাইফ’ হিসেবে সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রয়োজনে সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। আজকের কর্মসূচি তারই প্রমাণ। গত ১৫ বছর আমরা কোনো স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারিনি এমনকি সমাজসেবামূলক কার্যক্রমেও বাঁধা দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ গত ৫ আগস্টের পর ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই কাজ করে যাচ্ছে। এতোদিন আমরা নানারকম অপরাধ কর্মকান্ড দেখেছি, সমাজ সংস্কারের নামে পকেট ভারি করা হয়েছে। কিন্তু একমাত্র জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেকটি কর্মী নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে দেশের কল্যাণে নিবেদিত কর্মী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র পক্ষ থেকে এর আগেও এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে, আগামীতেও এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ ।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *