পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার তালায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩নং সরুলিয়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১১ নভেম্বর বিকালে পাটকেলঘাটা আল-আমিন ফাজিল মাদরাসা অডিটেরিয়ামে এ যুব সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরুলিয়া ইউনিয়ন আমীর হাফেজ শাহআলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি পরিষদ সদস্য ও নির্বাচন বিষয়ক সচিব তালা-কলারোয়া আসনের জামায়াতের নমিনি অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ। সরুলিয়া ইউনিয়ন যুব বিভাগের অফিস সম্পাদক মারুফ হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য সাতক্ষীরা জেলা তারবিয়াত সেক্রেটারী ডা: মাহমুদুল হক, সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক গাজী সুজায়েত আলী, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি ও যুব বিভাগের জেলা সভাপতি প্রভাষক ওমর ফারুক। ঢাকা মোহাম্মদপুর উত্তর থানার আমীর মনিরুজ্জামান শামীম, সাতক্ষীরা শহর শাখার সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, তালা উপজেলা শাখার আমীর মাও:মফিদুল্লাহ, সেক্রেটারী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, তালা উপজেলা যুববিভাগের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান রেন্টু প্রমুখ। এছাড়াও আরোও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ ইজ্জতউল্লাহ বলেন, এই সমাজের ধনী গরীবের যে বৈষম্য, চরমভাবে একদল মানুষ না খেয়ে আছে অপরদিকে হাজার কোটি টাকার মানুষ তারা চরম বিলাসিতায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন একটা অবস্থায় রাসুল(স.) এর আবির্ভাব হয়েছিল। তিনি সেই সমাজ পরিবর্তনের ডাক দিলে তখন মুরব্বিরা আসেনি কোন বয়স্ক লোকেরা তার ডাকে সাড়া দেয়নি। যুবকরাই তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলো। হযরত আবুবকর হযরত ওমর (রা:) এর মত যুবকদেরকে সুসংবদ্ধ করে ইসলামের আলোকে তাদের চরিত্র গঠন করে মদিনায় গিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করলেন। এই রাষ্ট্রকে ধুলিস্যাত করার জন্য ইসলামের শত্রুরা বদর ওহুদ সহ অনেক যুদ্ধ করলো, এই যুবকরাই সেদিন জীবন বাজি রেখে রাসুল (স.)কে সহোযোগিতা দিয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধিশালী সমাজ দারিদ্রমুক্ত সমাজ বৈষম্যহীন সমাজ, কল্যানের সমাজ কায়েম করলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র সমাজকে গুলি করে দমাতে চেয়েছিল কিন্তু ছাত্র সমাজ তাদের জীবন বাজি রেখে জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে অগ্রসর হলো তখন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে বিজয় দান করলেন। কিন্তু এই বিপ্লব সামাজিক বৈষম্য দুর করবেনা সামাজিক অর্থনৈতিক দুরাবস্থা দুর করবেনা। ইসলামী জীবন বিধান কায়েমের মাধ্যমেই একমাত্র সম্ভব এইগুলো দুর করা। সেজন্য কুরআন মানা নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
